প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমরা আলোচনা করবো নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি নিয়ে। আশাকরি এই পোস্ট দেখার পর আপনাদের আর বাসায় বসে পড়তে হবে না। বিসিএস, Bank Job,
সরকারি চাকরি, স্বায়ত্তশাসিত চাকরি ও যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি থেকে প্রশ্ন আসলে আপনারা সহজেই উত্তর দিতে পারবেন। আর প্রতিদিন এই রকম শর্ট টেকনিক পেতে চাইলে Job N Style ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। শেয়ার করে অন্যকে জানান সুযোগ করে দিন। এছাড়া আপডেট তথ্য পেতে
আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত হোন।
আমরা জানি, পরস্পর সর্ম্পকযুক্ত দুই বা ততোধিক পদের এক পদে পরিনত হওয়াকে সন্ধি বলে। সন্ধি শব্দের অর্থ মিলন। সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্বে আলোচিত
হয়। সন্ধি ৩ প্রকার-
১) স্বরসন্ধি
২) ব্যঞ্জন সন্ধি
এবং ৩) বিসর্গ সন্ধি।
পরস্পর দুটি শব্দের মিলন যেমন, বিদ্যা+আলয়= বিদ্যালয়, শুভ+ ইচ্ছা = শুভেচ্ছা, রত্ন+আকর=রত্নাকর ইত্যাদি।
সন্ধির উদ্দ্যেশ্য হলো- বাক্যকে সুন্দর, প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য করা, নতুন শব্দ তৈরী করা, ধ্বনিগত মাধুর্য রক্ষা করা, ধ্বনিগম মাধুর্য তৈরি করা এবং শব্দকে সংক্ষেপ করা।
যে সন্ধি ব্যাকরণের কোন নিয়ম মানে না, নিয়ম না মেনে চলে তাই নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি। নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি মনে রাখার শর্ট টেকনিক হলো:-
স্বৈর রাজা গবেন্দ্র তাঁর দুই মন্ত্রী, গবেশ্বর ও শুদ্বোধন -কে নিয়ে সকাল বেলার মার্তণ্ড (সূর্য) দেখবেন বলে গবাক্ষ ( জানালা) পথে তাকালেন । একদিকে দেখলেন শারঙ্গ ( এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র ) হাতে এক প্রৌঢ় কুলটা ( সমাজ যাদের অসতী বলে) নারী। তার সীমন্ত (সিথিঁ ) এলোমেলো দেখেলেন অক্ষৌহিণী (২১৮৭০০ যোদ্ধাবিশিষ্ট সেনাদল) সহ তাঁর সেনাপতি ও অন্যান্য মন্ত্রী রাজাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আসছেন।
স্বৈর
মন্ত্রী
গবেশ্বর ও শুদ্বোধন
মার্তণ্ড
গবাক্ষ
শারঙ্গ
প্রৌঢ়
কুলটা
সীমন্ত
অক্ষৌহিণী
অন্যান্য
কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ স্বরিসন্ধির উদাহরন হলো:- কুল+অটা = কুলটা, গো+অক্ষ = গবাক্ষ, প্র+ঊঢ় = প্রৌঢ়, অন্য+অন্য = অন্যান্য ইত্যাদি
চুরির ঘটনা তারা কোনো সংস্কার না রেখেই সংস্কৃত ভাষায় পরিষ্কারভাবে উত্থাপন করে এবং এতে এক পরিস্কৃত সংস্কৃতির উত্থান ঘটে।
সংস্কার
সংস্কৃত
পরিষ্কার
উত্থাপন
পরিস্কৃত
সংস্কৃতির
উত্থান
পতঞ্জলি ও মনীষা আশ্চর্য হয়ে পরস্পর তাকায় । সেই তস্করকে (চোরকে) তারা চিনে ফেলে। গত বৃহস্পতিবার ষোড়শ অথবা একাদশ জন মিলে দ্যুলোকের গোষ্পদ আর বনস্পতি এরা ধ্বংস করেছে।
পতঞ্জলি
মনীষা
আশ্চর্য
পরস্পর
তস্করকে
বৃহস্পতিবার
ষোড়শ
গোষ্পদ আর
বনস্পতি
নিপাতনে সিদ্ধ বিসর্গ সন্ধি (টেকনিক-৪)
বাচস্পতি বাবুর স্নেহের আস্পদ হরিশ্চন্দ্র। তিনি অহরহ শির:পীড়ায় ভোগেন । তাই প্রাত:কালে তিনি ভাস্কর (সূর্য) দেখতে পান না বলে অহর্নিশ মন:কষ্টে আছেন।
বাচস্পতি
আস্পদ
হরিশ্চন্দ্র
অহরহ
শির:পীড়ায়
প্রাত:কালে
ভাস্কর
অহর্নিশ
মন:কষ্টে
পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের অনুপ্রেরনা পেলে আমরা আরো এগিয়ে যাবে। আপনাদের জন্য নিত্যনতুন শর্ট টেকনিক নিয়ে হাজির হবো।
টেকনিক গুলো অনেক সুন্দর এবং মজার, ধন্যবাদ আপনাকে।আরও শর্ট টেকনিক শেয়ার করলে ভালো হয়া