একটি সুস্থ সুন্দর জীবনযাপর এর জন্য আমাদের অবশ্যই আমাদের নিত্যদিনের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা দরকার। আমাদের নিত্যদিনের জীবন যাত্রার জন্য আলসেমি খুবই খারাপ একটি দিক। আলসেমির কারণে আমাদের দৈনন্দিন কাজের বিঘ্ন ঘটে। বার্তা সংস্থা ইউএনবির আলসেমি দূর করে কাজে মনোযোগে হবার জন্য কিছু দিক এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেনঃ-
১.শুধুমাত্র প্রেরণা ইচ্ছাশক্তির মূল চালিকাশক্তি নয়ঃ
একজন বিখ্যাত ক্রিয়া মনোবিদ ইয়ান টেইলরের এর মতে ,মানুষ ইচ্ছাশক্তি কে সবকিছু মনে করে থাকে। কিন্তু এই ধারণা মোটেও সঠিক নয়। তাই শুধু মাত্র ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভর না করে কাজের খারাপ দিকটি উপেক্ষা করে আমাদের সামনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। ইচ্ছাশক্তি নিয়ে বসে থাকলে কখনো সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না কখনও
২) পূর্ব-পরিকল্পনাঃ
যদি কেউ নিজে থেকে বুঝতে পারে যে তার মধ্যে আলসেমির কোনো প্রবণতা তৈরী হচ্ছে সেই ক্ষেত্রে তাকে সচেতন হতে হবে। যেই কাজটি এক সপ্তাহ পর শেষ হবার কথা সেই কাজটি আজকে এবং এক্ষুনি সম্পন্ন করার মানসিকতা তৈরী করতে হবে। মার্কিন মনোবিদ পিটার গলউইৎজার এই কৌশলের উপর ৯৮ টি পরীক্ষা পর্যালোচনা করেছেন। তার মনে যদি কোনো ব্যক্তি এই কৌশল টি অনুসরণ করে তাহলে তারা লক্ষ্য অর্জন এ অন্যদের থেকে তিন ধাপ এগিয়ে থাকবে।
৩)ফেলে রাখা কাজের কিছু ইতিবাচক দিকসমূহঃ
শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর ফুসচিয়া সিরোইস বলেছেন দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনা অথবা সময় ব্যবস্থাপনা অথবা আলসেমি কোনো সমসসা নয়। আপনি যদি কাজ সম্পন্ন হবার আগে তার ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তিত হন। আলসেমি করা হলে কোনো কাজে সেই কাজ শেষ হবার সম্ভাবনা দেরিতে হয় যা নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে যাই।
৪) নিজেকে পুরুস্কৃত করুনঃ
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় এর কাইটলিম জুলির এক গবেষণায় দেখা গেছে ,কোনো কাজ সফল হবার পর পুরস্কৃত হওয়া কাজে সফল হওয়া এবং সফল হতে উৎসাহ প্রদান করে। তাই কোনো জটিল কাজ উৎসাহিত করতে পুরস্কার ব্যবস্থা করা উচিত। তাহলে কাজটি যথাসময়ে সম্পন্ন করার মানসিকতা তৈরী হয়।
৫) চাপ কমানঃ
কোনো কাজ করার আগে তা নিয়ে আগে থেকে চিন্তা করুন। আগে থেকে ভেবে রাখুন কোন কাজটা কিভাবে ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা যায়। এতে কাজের চাপ কমানো যায় এবং কাঙ্খিত কাজে সফলতা পাওয়ার হার অনেকটা বেড়ে যায়।
৬) নিজের প্রতি সদয় হনঃ
হাতে কাজ ঝুলিয়ে রাখলে সেই আর শেষ করা হয়ে উঠে না যার ফলে কাজ জমে যায়। শেষ পর্যন্ত সফলতা আর ধরা দেনা তা বন্দি হয়ে থাকে আলসেমির বেড়াজালে। তাই সময় থাকতে সময়ের কাজ করা উত্তম। না হলে নিজেকে নিজে ক্ষমা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তাই সময় থাকতে নিজের উপর সদয় হোন।
৭)কথা বলুন নিজের সম্পর্কেঃ
প্রত্যেকের ভাষা প্রত্যেকের কাজে ভিন্নতা সৃষ্টি করে। কেউ সমান না একজন এক জন এক এক রকম এবং এক এক জনের কাজ করার মানসিকতা এক এক রকম। ভাষা মানুষের এবং তার আচরণের মাঝে একটি সম্পর্ক তৈরী করে।
৮) ভবিষ্যত এর জন্য বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি মানসিকতা তৈরী করুনঃ
আমরা অনেকে ভাবি আমাদের ভবিষৎ সুন্দর হবে। বর্তমান অবস্থা থেকে আমরা ভবিষ্যত নিয়ে বেশি স্বপ্ন দেখি ,আর সেই জন্য বর্তমান কাজ সম্পন্ননা করে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা টা একটু বেশি। কিন্তু আমরা এইটা ভুলে যাই বর্তণ কাজের উপর আমাদের ভবিষৎ করে। তাই সময় থাকতে বর্তমান কাজের উপর মনোনিবেশ করা যুক্তিসঙ্গত।
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েসবাইটি ভিজিট করুন। এছড়াও আমাদের ফেসবুক পেইজেও লাইক দিয়ে যুক্ত হতে পারেন। আপনাদের তথ্য নির্ভরেআপডেট দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।